আমাদের দেশে কিছু মানুষ আবেগের বশে কৃষি কাজে আসে । কোন রকম তথ্য – উপাত্ত সংগ্রহ না করেই , প্রশিক্ষণ ছাড়াই খামার প্রতিষ্ঠা করে ফেলে এবং খামার প্রতিষ্ঠার কোন নিয়মের তোয়াক্কা করে না । মানে না অভিজ্ঞদের পরামর্শ। যার ফল বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই লোকসান গুনতে হয় । খামার স্থাপনের আগে কিছু প্রশিক্ষণ , বাজার চাহিদা , ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জেনে শুনে শুরু করলে, লাভের সম্ভবনা বেড়ে যায় ।
টিকা প্রদান ও তার গুরুত্বঃ
টিকা প্রদান কর্মসূচি অনুসারে বিভিন্ন রোগের টিকা প্রদান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় এবং সংক্রামক রোগ হতে মুরগিকে রক্ষা করা যায়। টিকাদান ফলপ্রসূ হলে রোগের প্রাদুর্ভাব খুব কম হবে এবং মৃত্যুর হার সহনীয় পর্যায় রাখা যাবে।
লেয়ার মুরগির টিকাঃ মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো, ব্রংকাইটিস, বসন্ত, সালমোনেলা, করাইজা ।
ব্রয়লার মুরগির টিকাঃ মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো
টিকা প্রদানের পূর্বে সতর্কতাঃ
* মুরগি ধরার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে ।
* মুরগির যে কোন ধরনের ধকল মুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে ।
* অসুস্থ মুরগিকে টিকা দেয়া যাবে না ।
* টিকা প্রদান উপকরণ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে ।
* আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেসময়ে টিকা প্রদান করতে হবে।
টিকা ব্যবহারের সাধারণ নিয়মাবলীঃ
* প্রতিষেধক টিকা সবসময়ই সুস্থ পাখিকে প্রয়োগ করতে হয় ।
* সংক্রামক রোগ বা কৃমিতে আক্রান্ত পশু-পাখিকে টিকা প্রয়োগ করা যাবে না। তাতে কাঙ্খিত মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না বরং পাখির আরও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে ।
* টিকা বীজ কোন অবস্থাতেই সূর্যালোকের সংস্পর্শে আনা যাবে না ।
* ব্যবহারের সময় মিশ্রণ এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে পাত্র, সিরিঞ্জ-নিড্ল, ব্যবহৃত তরল পদার্থ, টিকা ব্যবহারকারীর হাত ইত্যাদি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও বীজাণুমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
* জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না ।
* প্রতিষেধক টিকা সকালে বা সন্ধ্যার সময় ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রয়োগ করা ভাল ।
* ব্যবহারের জন্য গোলানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা ব্যবহার করে ফেলা উচিত। গোলানোর পর গরমের দিনে ১ ঘন্টা এবং শীতের দিনে ২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করে ফেলতে হবে ।
* মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা টিকার সাধারণ রং পরিবর্তিত হয়ে গেলে সে টিকা আর ব্যবহার করা যাবে না ।
* টিকা পরিবহনের ক্ষেত্রে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন । তাপ প্রতিরোধক পাত্রের মধ্যে বরফ দিয়ে টিকা বীজ পরিবহন করতে হয়। বরফ গলে গেলে পুনরায় বরফ দিতে হয় ।
* ব্যবহারের সময় টিকা মিশ্রণের পাত্র ছায়াযুক্ত স্থানে বরফ দেওয়া বড় পাত্রের মধ্যে রাখা যাবে না ।
* ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধক টিকা প্রয়োগকালে টিকা প্রয়োগ স্থান পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে এবং এই জন্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না ।
* গোলানো অব্যবহৃত টিকা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য রাখা যাবে না।
টিকা প্রদান কর্মসূচী (লেয়ার মুরগির জন্য)
বয়স —– রোগের নাম ——–ভ্যাকসিনের নাম ——টিকা প্রদানের পদ্ধতি
১ দিন—– মারেক্স রোগ — মারেক্স ভ্যাকসিন —–চামড়ার নীচে ইজেকশন
২ দিন —-গামবোরো রোগ –গামবোরো ভ্যাকসিন (লাইভ)—চোখে ফোঁটা (প্যারেন্ট মুরগির টিকা প্রদান করা না থাকলে)
৩-৫ দিন–রানীক্ষেত রোগ —-বি, সি, আর, ডি, ভি —দুই চোখে ফোঁটা (প্যারেন্ট মুরগির টিকা প্রদান করা থাকলে ৭ থেকে ১০ দিন বয়সে)
৭ দিন — ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস —আই, বি, ———— চোখে ফোঁটা
১০-১৪ দিন–গামবোরো রোগ —গামবোরো ভ্যাকসিন –এক চোখে ফোঁটা
২১-২৪ দিন–রানীক্ষেত রোগ —-বি, সি, আর, ডি, ভি –দুই চোখে ফোঁটা
২৪-২৮ দিন-গামবোরো রোগ –গামবোরো ভ্যাকসিন —এক চোখে ফোঁটা
৩০ দিন–ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস —আই, বি, ———— চোখে ফোঁটা
৩৫ দিন–মুরগি বসন্ত ——-ফাউল পক্স ভ্যাকসিন —– চামড়ার নীচে সুঁই ফুঁটিয়ে
৫০ দিন —–কৃমি —————–কৃমির ঔষধ —–খাদ্য অথবা পানির সাথে
৬০ দিন –রানীক্ষেত রোগ –আর, ডি, ভি —চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
৭০ দিন–ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস —আই, বি —চোখে ফোঁটা বা পানির সাথে
৮০-৮৫ দিন–কলেরা -ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন –চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
৯০-৯৫ দিন–ইনফেকসাস করাইজা –আই, করাইজা ভ্যাকসিন — চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
১১০-১১৫ দিন–কলেরা-ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন-চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
১৩০-১৩৫ দিন–ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস, রানীক্ষেত, এগড্রপসিনড্রম,সমন্বিত টিকা
—– চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
১৩০-১৩৫ দিন—কৃমি ——-কৃমির ঔষধ ——–খাদ্য অথবা পানির সাথে
তবে খেয়াল রাখতে হবে: প্রয়োজনবোধে খাদ্যের সাথে ৬ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ককসিডিওসিস রোগ প্রতিরোধের জন্য ককসিডিওস্ট্যাট ব্যবহার করতে হবে। ৫০ দিন বয়সে কৃমির ঔষধ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। ১৩০ থেকে ১৩৫ দিন বয়সে ঐ ঔষধ পুনরায় খাওয়াতে হবে।
তবে এই তালিকা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। রোগের প্রার্দুভাবের ইতিহাস, টিকার প্রাপ্যতা ও স্থানীয় পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নিজ নিজ খামারের জন্য নিজস্ব তালিকা প্রস্তত করতে হবে। টিকা সবসময় প্রস্ততকারীর নির্দেশমত ব্যবহার করতে হবে। সকল প্রকার টিকা ও ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু তথ্য — কৃষি তথ্য আপা থেকে নেয়া ।
* সকল কৃষক ভাই – বোনদের জন্য শুভ কামনা —
টিকা প্রদান ও তার গুরুত্বঃ
টিকা প্রদান কর্মসূচি অনুসারে বিভিন্ন রোগের টিকা প্রদান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় এবং সংক্রামক রোগ হতে মুরগিকে রক্ষা করা যায়। টিকাদান ফলপ্রসূ হলে রোগের প্রাদুর্ভাব খুব কম হবে এবং মৃত্যুর হার সহনীয় পর্যায় রাখা যাবে।
লেয়ার মুরগির টিকাঃ মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো, ব্রংকাইটিস, বসন্ত, সালমোনেলা, করাইজা ।
ব্রয়লার মুরগির টিকাঃ মারেক্স, রাণীক্ষেত, গামবোরো
টিকা প্রদানের পূর্বে সতর্কতাঃ
* মুরগি ধরার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে ।
* মুরগির যে কোন ধরনের ধকল মুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে ।
* অসুস্থ মুরগিকে টিকা দেয়া যাবে না ।
* টিকা প্রদান উপকরণ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে ।
* আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেসময়ে টিকা প্রদান করতে হবে।
টিকা ব্যবহারের সাধারণ নিয়মাবলীঃ
* প্রতিষেধক টিকা সবসময়ই সুস্থ পাখিকে প্রয়োগ করতে হয় ।
* সংক্রামক রোগ বা কৃমিতে আক্রান্ত পশু-পাখিকে টিকা প্রয়োগ করা যাবে না। তাতে কাঙ্খিত মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না বরং পাখির আরও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে ।
* টিকা বীজ কোন অবস্থাতেই সূর্যালোকের সংস্পর্শে আনা যাবে না ।
* ব্যবহারের সময় মিশ্রণ এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে পাত্র, সিরিঞ্জ-নিড্ল, ব্যবহৃত তরল পদার্থ, টিকা ব্যবহারকারীর হাত ইত্যাদি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও বীজাণুমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
* জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না ।
* প্রতিষেধক টিকা সকালে বা সন্ধ্যার সময় ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রয়োগ করা ভাল ।
* ব্যবহারের জন্য গোলানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা ব্যবহার করে ফেলা উচিত। গোলানোর পর গরমের দিনে ১ ঘন্টা এবং শীতের দিনে ২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করে ফেলতে হবে ।
* মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা টিকার সাধারণ রং পরিবর্তিত হয়ে গেলে সে টিকা আর ব্যবহার করা যাবে না ।
* টিকা পরিবহনের ক্ষেত্রে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন । তাপ প্রতিরোধক পাত্রের মধ্যে বরফ দিয়ে টিকা বীজ পরিবহন করতে হয়। বরফ গলে গেলে পুনরায় বরফ দিতে হয় ।
* ব্যবহারের সময় টিকা মিশ্রণের পাত্র ছায়াযুক্ত স্থানে বরফ দেওয়া বড় পাত্রের মধ্যে রাখা যাবে না ।
* ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধক টিকা প্রয়োগকালে টিকা প্রয়োগ স্থান পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে এবং এই জন্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না ।
* গোলানো অব্যবহৃত টিকা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য রাখা যাবে না।
টিকা প্রদান কর্মসূচী (লেয়ার মুরগির জন্য)
বয়স —– রোগের নাম ——–ভ্যাকসিনের নাম ——টিকা প্রদানের পদ্ধতি
১ দিন—– মারেক্স রোগ — মারেক্স ভ্যাকসিন —–চামড়ার নীচে ইজেকশন
২ দিন —-গামবোরো রোগ –গামবোরো ভ্যাকসিন (লাইভ)—চোখে ফোঁটা (প্যারেন্ট মুরগির টিকা প্রদান করা না থাকলে)
৩-৫ দিন–রানীক্ষেত রোগ —-বি, সি, আর, ডি, ভি —দুই চোখে ফোঁটা (প্যারেন্ট মুরগির টিকা প্রদান করা থাকলে ৭ থেকে ১০ দিন বয়সে)
৭ দিন — ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস —আই, বি, ———— চোখে ফোঁটা
১০-১৪ দিন–গামবোরো রোগ —গামবোরো ভ্যাকসিন –এক চোখে ফোঁটা
২১-২৪ দিন–রানীক্ষেত রোগ —-বি, সি, আর, ডি, ভি –দুই চোখে ফোঁটা
২৪-২৮ দিন-গামবোরো রোগ –গামবোরো ভ্যাকসিন —এক চোখে ফোঁটা
৩০ দিন–ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস —আই, বি, ———— চোখে ফোঁটা
৩৫ দিন–মুরগি বসন্ত ——-ফাউল পক্স ভ্যাকসিন —– চামড়ার নীচে সুঁই ফুঁটিয়ে
৫০ দিন —–কৃমি —————–কৃমির ঔষধ —–খাদ্য অথবা পানির সাথে
৬০ দিন –রানীক্ষেত রোগ –আর, ডি, ভি —চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
৭০ দিন–ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস —আই, বি —চোখে ফোঁটা বা পানির সাথে
৮০-৮৫ দিন–কলেরা -ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন –চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
৯০-৯৫ দিন–ইনফেকসাস করাইজা –আই, করাইজা ভ্যাকসিন — চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
১১০-১১৫ দিন–কলেরা-ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন-চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
১৩০-১৩৫ দিন–ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস, রানীক্ষেত, এগড্রপসিনড্রম,সমন্বিত টিকা
—– চামড়ার নীচে বা মাংসে ইনজেকশন
১৩০-১৩৫ দিন—কৃমি ——-কৃমির ঔষধ ——–খাদ্য অথবা পানির সাথে
তবে খেয়াল রাখতে হবে: প্রয়োজনবোধে খাদ্যের সাথে ৬ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ককসিডিওসিস রোগ প্রতিরোধের জন্য ককসিডিওস্ট্যাট ব্যবহার করতে হবে। ৫০ দিন বয়সে কৃমির ঔষধ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। ১৩০ থেকে ১৩৫ দিন বয়সে ঐ ঔষধ পুনরায় খাওয়াতে হবে।
তবে এই তালিকা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। রোগের প্রার্দুভাবের ইতিহাস, টিকার প্রাপ্যতা ও স্থানীয় পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নিজ নিজ খামারের জন্য নিজস্ব তালিকা প্রস্তত করতে হবে। টিকা সবসময় প্রস্ততকারীর নির্দেশমত ব্যবহার করতে হবে। সকল প্রকার টিকা ও ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু তথ্য — কৃষি তথ্য আপা থেকে নেয়া ।
* সকল কৃষক ভাই – বোনদের জন্য শুভ কামনা —
0 comments:
Post a Comment